দুলাই, সুজানগর, পাবনা।
পাবনা হতে ১৯ কি.মি. দুরে সিএনজি/নিজ পরিবহন যোগে সুজানগর যাওয়া যায়। সুজানগর উপজেলা থেকে সিএনজি যোগে পোড়াডাঙ্গা বাজার হয়ে চিনাখড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে পূর্ব দিকে পাবনা নগরবারী মহাসড়কের পার্শে দুলাই বাজারের ৫০০ মিটার দক্ষিন দিকে রিক্সা/ভ্যান যোগে জমিদার বাড়ী যাওয়া যায়।
প্রায় আড়াইশো বছর আগে নির্মিত জমিদার বাড়ীটির ধ্বংসাবশেষ কালের স্বাক্ষী হিসাবে দন্ডায়মান। এই জমিদার বাড়ীতে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত মট, একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত অট্টালিকা, ০৫টি পুকুর জরাজীর্ন অবস্থায় রয়েছে। আনুমানিক আড়াইশো বছর আগে উক্ত দুলাই গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আজিম চৌধুরীর জন্ম হয়। ১২০ বিঘা জমির তিন ভাগের এক ভাগ জুড়ে নির্মান করেছিলেন আছে অত্যাধুনিক ডিজাইনের দ্বিতল বহু দুয়ারি এবং বহু কক্ষের প্রাসাদতুল্য এই অট্টালিকা। ১১টি নিরাপত্তা গেট বেষ্টিত এ অট্টালিকার মূল গেটে দন্ডায়মান থাকত বিশাল আকৃতির দুটি হাতি। হাতি দুটিকে জমিদার বাড়ীর নিরাপত্তা প্রহরীর কাজে ব্যবহার করা ছাড়াও আজিম চৌধুরীর ভ্রমন বাহন হিসাবে ব্যবহার করা হত। মনোলভা সৌন্দর্য মোহিত বিলাসবহুল এ অট্টালিকার চারদিকে পরিবেষ্টিত ৬০ বিঘার একটি দর্শনীয় দীঘি। নিরাপত্তা বিধানে হাতি ছাড়াও ছিল দুটি আধুনিক স্বয়ংক্রিয় কামান। বাড়ীর অভ্যন্তরে একটি মসজিদ, জমিদার দরবারে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের গোসলের জন্য একটি বিশাল পুকুর এবং জমিদার পরিবারের বিবিদের গোসলের জন্য অন্দর মহলের ভিতরে খনন করা হয়েছিল আরো একটি দর্শনীয় পুকুর।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস