পিট
ভূ-পৃষ্ঠে কিংবা ভূগর্ভের কোন স্থানে সঞ্চিত খনিজ সম্পদের অবস্থান মুলত সংশ্লিষ্ট স্থানের ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে থাকে। ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভূতাত্ত্বিক পরিবেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ বিদ্যমান থাকে। সেই অর্থে পাবনা জেলা খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ নয়।
এখানে চলনবিল এলাকার কিছু অংশে পিট পাওয়া যায়। সারা বাংলাদেশে যেখানে পিটের মোট মজুতের পরিমাণ ১৭ কোটি টনের বেশী সেখানে শুধু চলনবিলেই মজুতের পরিমান প্রায় ৬.২ কোটি টন। চলনবিলের মজুতের গভীরতা ০.৫ - ৪.৭৫ মিটার, পুরুত্ব ৩.৩৫ - ৭.৬৫ মিটার, কার্বন ১৪.৮০%, ভস্ম ৪৬.১৩%, আর্দ্রতা ৮.৫৩%, উদ্বায়ী বস্ত্ত ৫৪.১৩%। তবে এই মজুত থেকে পিট উত্তোলন এখনও শুরু হয়নি। গার্হস্থ্য কাজে, ইটের ভাটায় এবং বয়লারের জ্বালানী হিসাবে পিট ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশে বিকল্প জ্বালানী হিসাবে পিটের সম্ভাবনা অতি উজ্জ্বল।
পাবনা জেলার বিভিন্ন নদীর তলদেশে নির্মাণ কাজের বালি পাওয়া যায়। প্রধানত মাঝারী থেকে মোটা দানাদার কোয়ার্টজ সমন্বয়ে এই বালি গঠিত। দালান, সেতু, রাস্তা ইত্যাদি নির্মাণে এই বালি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। পরিকল্পিত উপায়ে এই বালি উত্তোলিত হলে বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পে এর গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস