জেলা পাবনা প্রাক প্রাকিস্তান কাল পর্যন্ত ফুটবল খেলায় বেশ সুনামের অধিকালীছিল। প্রতিশহর, গ্রামে, গঞ্জে, ফুটবলের প্রচলন ছিল এবং তা আজো আছে, যদি ও মানগত প্রশ্নে পূর্বের মত আশাব্যঞ্জক নয়। পাবনার কতিপয় ক্লাব আজো মানুষের স্মৃতি পটে আছে। তারমধ্যে pabna Football Club, Police Team, pabna Edward College Team, Serajgang Town Club, প্রভৃতির নাম উচ্চারিত হতে শুনা যায়। ৩০ এরদশকে যখন ফুটবলের নেশা তুঙ্গে উঠেছিল, তখন ঐসব টিম গুলো বাইরে খেলে যথেষ্ট সুনাম ও সুষশের অধিকারী হয়। তারা সেকালে বহরমপুরের হুইলার শীল্ড, জলপাইগুড়ির ‘‘সোনা’’ উল্লাশীড ’’ফরিদপুরের‘‘ রামকানাইশীল্ড’’ যা সেকালে অত্যন্ত মহার্ঘ ছিল, তা তারা জয় করে আনে।
ঐ ৩০-এর দশকে পাবনাতে ফুটবল যাদুকর ‘‘সামাদ’’ এসেছিলেন খেলতে আরো এসেছিলেন গোষ্টপাল, উমাপতি, আঃ হামিদ (মোহনবাগানের) ফুটবল জগতের অমর ব্যক্তিত্ব প্রমুখ। বিখ্যাত ফুটবলটি মমোহন বাগান, এরিয়ানস্, কাষ্টমস পাবনা জ্যাকসন শীল্ডে খেলতে এসেছিল ঐকালে।
পাবনার ফুটবল আকাশে (S.N. Chawdhury) সতুসান্যাল (সতী মোঃ সান্যাল), মতু সান্যাল, বীজু শেখ, তফাজ্জল হোসেন, নীতু জোয়ারদার মাখন চাকী, বীরেন রায়, উপেন বসাক, শান্তি, পাশা, নীলু, প্রভৃতির কথা মনে করে সবাই।
ইদানিং কাল (Football) এসোসিয়েশন বেশ নাম করেছিল। ১৯৬০ এর দশকে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন আফতাব উদ্দীন সাহেব (সিলেট)। তাঁর উৎসাহ এবং সক্রিয়তায় পাবনার ফুটবল জগতে ৬০ দশক একটি অমর যুগ ছিল। সে সময় পাবনা থেকে ফুটবল বিভিন্ন জেয়ার খেলে বহু ‘‘কাপ’’ ‘‘শীল্ড’’ ‘‘মেডেল’’ প্রভৃতি জয় করে পাবনার গৌরব বৃদ্ধি করেছিল, পাবনা হয়ে উঠে প্রাণ চঞ্চল। পাবনার ফটুবল খেলা যতকাল জীবিত থাকবে, তার সাথে সাথে আফতাব উদ্দীনের নাম অমর হয়ে থাকবে।
পাবনা জেলার বিশেষ উল্লেখযোগ্য খেলার মধ্যে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, কাবাডি, হ্যান্ডবল, দাবা, সাঁতার ও এ্যাথলেটিক্স অন্যতম। খেলাধুলার জন্য পাবনা সদরে ১টি, বেড়া ও ঈশ্বরদী উপজেলায় একটি করে মোট ৩টি, এ ছাড়া পাবনা সদরে আর, এম, একাডেমীতে ১ টি, জি.সি. আই- এ ১টি, পাবনা জেলা স্কুলে ১টি, দোগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, পাবনা মুনছুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, বেড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, বেড়া বি.বি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, নাকালিয়া বেড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, বোনয়ারী নগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, ফরিদপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, ধুলাউড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, কাশিনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, বনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, আতাইকুলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, দুলাই উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ টি সনহ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, ভাঙ্গুরা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, পাটুলি পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, উদয়ন একাডেমীতে ১টি, অষ্ট মুনিষা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, সুজানগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি নাজির গঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, চিনাখড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, সাড়া মারোয়ারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, এয়ারপোর্ট একাডেমীতে ১টি, বাঁশের বাধা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, বাংলাদেশ রেল ওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, রূপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, বাঘাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, আটঘড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, দেবোত্তর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, রামচন্দ্র পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, মূল গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি। হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, দূর্গাদাস উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, বোয়ালমারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ টি, বিলচলন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, ছাইকোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি, হান্ডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি সর্বমোট ৪৪ টি মাঠ রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস