অবিভক্ত ভারত উপমহাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী প্রদেশের নাম বঙ্গদেশ। ২৮টি জেলার সমন্বয়ে গঠিত বঙ্গদেশের একটি জেলার নাম পাবনা। এ জেলার ইতিহাস থেকে জানা যায় পৌন্ড্র রাজ্যের অন্তর্গত থাকাকালীন এ এলাকার ’’ পৌদ ’’ জাতির বাসস্থান ’’পৌন্ড্র বর্ধন ’’ ভূমি হতে এবং পতিত পাবনী গংগার পূর্বগামী ধরাত্রয়ের অন্যতম ’’ পাবনী ’’ হতে বর্তমান পাবনা জেলার নামকরণ হয়েছে বলে অনুমান করা হয়।
১৮২৮ সালের পূর্বে পাবনা রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীতে ১৮২৮ সালে রাজশাহী জেলার একাংশ বিভক্ত হয়ে বর্তমান পাবনা জেলার সৃষ্টি হয়। প্রথমে পাবনা জেলার ক্ষেতুপাড়া, মথুরাপুর, রায়গঞ্জ এবং জেলা যশোরের (পদ্মার অপর পাড় ) ধরমপুর ,মধুপুর, কুষ্টিয়া এবং তার কিছু পরে পাংশা যা বর্তমানে রাজবাড়ী জেলার অন্তর্গত এ আটটি উপজেলার সমন্বয়ে পাবনা জেলার সৃষ্টি হয় । ১৮৪৮ সালের যমুনা নদীকে পাবনা জেলার সীমানা নির্ধারক ঘোষনা করা হয়। প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে ১৮৫৫ সনে যমুনার পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ উপজেলাকে পাবনার সাথে একীভূত করার ফলে এ জেলার কলেবর বৃদ্ধি পায়। ১৮৭১ সালে পাবনা থেকে পাংশা থানা ফরিদপুর জেলার গোয়ালন্দ মহকুমার এবং কুমারখালী থানা নদীয়ার কুষ্টিয়া মহকুমার সাথে সংযুক্ত করা হয়। এভাবে জেলার দক্ষিন সীমানা পদ্মা নির্ধারিত হয়। ১৯৮৪ সালের পূর্ব পর্যন্ত পাবনা সদর মহকুমা ও সিরাজগঞ্জ মহকুমা নিয়ে পাবনা জেলা ছিল। ১৯৮৪ সাল থেকে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ নামে দুটি স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে পাবনা, ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, সুজানগর, বেড়া, সাঁথিয়া ও ভাংগুড়া উপজেলা নিয়ে পাবনা জেলা গঠিত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস